শেখ আহমদ জাওয়াদ, আল-হাদিস, অনার্স ৪র্থ বর্ষ, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসা।
আলেমগণ হলেন নবীগণের ওয়ারিশ। জাতির কর্ণধার, পথিকৃৎ। নবীগণের প্রদর্শিত পথে নিজের জীবন পরিচালনা পূর্বক; জনসাধারণকে সেই পথে পরিচালিত করার অন্যতম এক রাহবার। আলেমগণের মধ্যেই রয়েছে পূর্ণাঙ্গ তাকওয়া, খোদাভীতি। তাকওয়াই আলেমকে অন্য সবার উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছে । মূলত যিনি যত জানেন, তাঁর ভয়ও তত বেশি। আর যে জানে না তার ভয়ই বা কি আর সাহসীকতাই বা কি! উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বনের সিংহকে একজন সুস্থ মস্তিষ্কওয়ালা লোক মাত্রই ভয় করে। কেননা সিংহ সম্পর্কে সে যথেষ্ট জ্ঞান রাখে। কিন্তু একজন শিশু কিংবা পাগল সিংহকে ভয় পায় না; কারণ সে সিংহ সম্পর্কে অজ্ঞ।
শরীয়তের মাসয়ালা মাসায়েল এবং আল্লাহ তায়ালার মারেফত সম্পর্কে যার ইলিম যত বেশি, আল্লাহতালার প্রতি ভয়-ভীতিও তার তত বেশি। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন মাজিদে এরশাদ করেছেন-
إِنَّمَا يَخْشَى اللهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ
অর্থাৎ “প্রকৃতপক্ষে আলেমগণই আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করে।”[1]
খাশইয়াহ বা আল্লাহর ভয় কি?
খাশইয়াহ বা আল্লাহর ভয় সম্পর্কে হযরত সাঈদ ইবনে জুবাইর (র.) বলেন-
الخَشْيَةُ أنْ تَخْشى اللهَ حَتّى تَحُولَ خَشْيَتُهُ بَيْنَكَ وبَيْنَ مَعْصِيَتِهِ فَتِلْكَ خَشْيَتُهُ.
অর্থাৎ “খাশইয়াহ বা আল্লাহর ভয় হলো এমন ভয়, যা তোমার ও তাঁর অবাধ্যতার মধ্যে অন্তরায় সৃষ্টি করে। সেটাই খাশইয়াহ বা আল্লাহর ভয়।”[2]
হযরত আবুল কাসিম আল-জুনাঈদ বাগদাদী (র.) বলেছেন:
الخوف توقع العقوبة على مجاري الأنفاس
অর্থাৎ “আল্লাহর ভয় হল, প্রতিটি নিঃশ্বাসের সাথে শাস্তির আশঙ্কা করা।”[3]
খাশইয়া ও খাওফ এর মধ্যে পার্থক্য:
উল্লেখ্য الخوف এবং الخشيةউভয়ের অর্থই ভয়-ভীতি। তবে এখানে সুক্ষ্ম একটি পার্থক্য বিদ্যমান। আল্লামা ইবনুল কায়্যিম বলেন-
والخشية أخصُّ من الخوف، فإنَّ الخشية للعلماء بالله، قال تعالى: إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ، فهي خوفٌ مقرونٌ بمعرفة، وقال النبيّ – صلى الله عليه وسلم -: إنِّي أتقاكم لله وأشدُّكم له خشيةً
অর্থাৎ الخشية হচ্ছে الخوف এর চেয়ে খাস, কেননা খাশইয়াহ আল্লাহ তায়ালার সম্পর্কে উলামাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন:إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ অতএব, খাশইয়াহ হল, জ্ঞানের সাথে সংশ্লিষ্ট এক ধরনের ভয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন: “নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মধ্যে আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় করি এবং তাঁর ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি ভয় পোষণ করি।”[4]
অত:পর উল্লেখ করেন-
فالخوف حركة، والخشية انجماع، وانقباض، وسكون.
অর্থাৎ “সুতরাং, ভয় হলো অন্তরের কম্পনের নাম, আর খশিয়াহ হল- অবনত হওয়া, সংকুচিত হওয়া এবং স্থির হওয়া।”[5]
প্রকৃত আলেম কারা?
বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে আলেমের বিভিন্ন সংজ্ঞা রয়েছে। সাধারণভাবে বলা যায়, যিনি পবিত্র কালামুল্লাহ ও হাদিসে মোবারাকা তাহক্বীক ভিত্তিক অর্থসহকারে বুঝেন এবং সেখান থেকে মাসআলা মাসায়েল ইস্তেম্বাত করতে সক্ষম, তাদেরকেই আলেম বলে।
তবে আলোচ্য আয়াতের আলোকে কাঁদেরকে আলেম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে, সে সম্পর্কে আল্লামা আলুসী (র.) বলেন-
والمُرادُ بِالعُلَماءِ العالِمُونَ بِاَللَّهِ عَزَّ وجَلَّ وبِما يَلِيقُ بِهِ مِن صِفاتِهِ الجَلِيلَةِ وأفْعالِهِ الحَمِيدَةِ وسائِرِ شُؤُونِهِ الجَمِيلَةِ لا العارِفُونَ بِالنَّحْوِ والصَّرْفِ مَثَلًا، فَمَدارُ الخَشْيَةِ ذَلِكَ العِلْمُ لا هَذِهِ المَعْرِفَةُ فَكُلُّ مَن كانَ أعْلَمَ بِهِ تَعالى كانَ أخْشى.
অর্থাৎ “এখানে “উলামা” বলতে সেই ব্যক্তিদের বোঝানো হয়েছে, যারা আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন এবং তাঁর সাথে সম্পর্কিত মহান গুণাবলি, প্রশংসনীয় কর্মসমূহ এবং অন্যান্য সুন্দর বিষয়সমূহ সম্পর্কে অবগত; নাহু ও সরফ ইত্যাদি জানা ব্যক্তিরা নন। কেননা খাশিয়্যাত তথা তাকওয়া অর্জনের মাপকাঠি হলো এই বিশেষ জ্ঞান; সাধারণ এই ফুনুনাত জানার নাম নয়। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তাআলার ব্যাপারে অধিক জ্ঞান রাখে, সে-ই তাঁকে বেশি ভয় করে।”[6]
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: إِنَّ الْفَقِيهَ حق الفقيه من لم يقنط النَّاسَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ، وَلَمْ يُرَخِّصْ لَهُمْ فِي مَعَاصِي اللَّهِ تَعَالَى، وَلَمْ يُؤَمِّنْهُمْ مِنْ عَذَابِ اللَّهِ، وَلَمْ يَدَعِ الْقُرْآنَ رَغْبَةً عَنْهُ إِلَى غَيْرِهِ، إِنَّهُ لَا خَيْرَ فِي عِبَادَةٍ لَا عِلْمَ فِيهَا، وَلَا عِلْمَ لَا فِقْهَ فِيهِ، وَلَا قِرَاءَةَ لَا تَدَبُّرَ فِيهَا
অর্থাৎ, “হযরত আলী (র.) বলেছেন: “প্রকৃত ফকীহ তথা সুক্ষ্ম জ্ঞানের অধিকারী আলেম তিনিই, যিনি মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ করেন না, পাপের লিপ্ত হতে দেন না, আল্লাহর শাস্তি থেকে নিরাপদ মনে করতে বলেন না এবং কুরআন ছেড়ে অন্য কিছুতে মনোযোগ দেন না। ইবাদত তখনই ভালো, যখন তার সাথে ইলিম থাকে; ইলিম তখনই ভালো, যখন তার মধ্যে ফিকহ বা সুক্ষ্ম বোধশক্তি থাকে; আর কুরআন পড়া তখনই ভালো, যখন তা নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা করা হয়।”[7]
তাকওয়ার ভিত্তিতে আলেমের শ্রেণীবিভাগ
তাফসীরে কুরতুবীতে উল্লেখ আছে-
وأخْرَجَ ابْنُ أبِي حاتِمٍ، مِن طَرِيقِ سُفْيانَ عَنْ أبِي حَيّانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ رَجُلٍ قالَ: كانَ يُقالُ: العُلَماءُ ثَلاثَةٌ، عالِمٌ بِاللَّهِ عالِمٌ بِأمْرِ اللَّهِ، وعالِمٌ بِاللَّهِ لَيْسَ بِعالِمٍ بِأمْرِ اللَّهِ، وعالِمٌ بِأمْرِ اللَّهِ لَيْسَ بِعالِمٍ بِاللَّهِ، فالعالِمُ بِاللَّهِ وبِأمْرِ اللَّهِ: الَّذِي يَخْشى اللَّهَ ويَعْلَمُ الحُدُودَ والفَرائِضَ، والعالِمُ بِاللَّهِ لَيْسَ بِعالِمٍ بِأمْرِ اللَّهِ: الَّذِي يَخْشى اللَّهَ ولا يَعْلَمُ الحُدُودَ ولا الفَرائِضَ، والعالِمُ بِأمْرِ اللَّهِ لَيْسَ بِعالِمٍ بِاللَّهِ: الَّذِي يَعْلَمُ الحُدُودَ والفَرائِضَ، ولا يَخْشى اللَّهَ
অর্থাৎ “ইবনু আবি হাতিম (র.) সুফিয়ান থেকে, তিনি আবু হাইয়ান আত-তাইমি থেকে, তিনি এক ব্যক্তির কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলতেন: – “আলিম তিন প্রকার:
১। যিনি আল্লাহ তায়ালার মা’রিফত সম্পর্কে অবগত এবং আল্লাহর বিধান সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন।
২। যিনি আল্লাহ তায়ালার মা’রিফত সম্পর্কে অবগত কিন্তু আল্লাহর বিধান সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন না।
৩। যিনি আল্লাহ তায়ালার মা’রিফত সম্পর্কে অবগত নন কিন্তু আল্লাহর বিধান সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন।
সুতরাং যিনি আল্লাহ তায়ালার মা’রিফত সম্পর্কে এবং তাঁর বিধিবিধান সম্পর্কে অবগত, তিনিই আল্লাহ তায়ালাকে প্রকৃতপক্ষে ভয় করেন এবং ইসলামের সীমারেখা এবং ফরজবিধান সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। আর যিনি আল্লাহ তায়ালার মা’রিফত সম্পর্কে অবগত কিন্তু তাঁর বিধিবিধান সম্পর্কে অবগত নন; তিনি আল্লাহকে ভয় করেন তবে ইসলামের সীমারেখা এবং ফরজ বিধিবিধান সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন না। অপরদিকে যিনি আল্লাহ তায়ালার মা’রিফত সম্পর্কে অবগত নন; তবে তাঁর বিধিবিধান সম্পর্কে অবগত, তিনি প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তায়ালাকে ভয়ই করেন না।”[8]
প্রকৃতপক্ষে আলেমগণই আল্লাহকে ভয় করেন
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে এরশাদ করেছেন –
إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ
অর্থাৎ “প্রকৃতপক্ষে আলেমগণই আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করে।”
উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বিখ্যাত তাফসীরকারক আল্লামা আলুসী বাগদাদী (র.) এরশাদ করেন-
وتَقْدِيمُ المَفْعُولِ لِأنَّ المَقْصُودَ بَيانُ الخاشِينَ والإخْبارُ بِأنَّهُمُ العُلَماءُ خاصَّةً دُونَ غَيْرِهِمْ
অর্থাৎ “এখানে المفعول আগে আনা হয়েছে, কেননা এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহকে ভয় করার বিষয়টি শুধুমাত্র আলেমদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা; অন্যদের মধ্যে নয়।”[9]
এখানে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করার ব্যপারটি আলেমগণের ক্ষেত্রেই খাস করা হয়েছে। কেননা আলেমগণ আল্লাহ তায়ালার মা’রেফত সম্পর্কে জ্ঞাত। আর আলেম হতে জনসাধারণ যতটুকু জেনেছে, তার ভয়ও সেই পরিমান। অপরদিকে কাফেরদের আল্লাহ সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই; তাই তাঁদের ভয়ও নেই।
আলেম মাত্রই তাকওয়াবান
তাকওয়া ও ইলিম একে অন্যের পরিপূরক। ইলিম ছাড়া যেমন প্রকৃত তাকওয়া অর্জিত হয় না, তেমনি তাকওয়া ব্যতীত আলেম হওয়া যায় ন। এ প্রসঙ্গে তাফসীরে মাওয়ারদীতে উল্লেখ আছে-
قالَ الرَّبِيعُ بْنُ أنَسٍ: مَن لَمْ يَخْشَ اللَّهَ فَلَيْسَ بِعالِمٍ.
অর্থাৎ “রাবি ইবনে আনাস (র.) বলেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে না, সে প্রকৃতপক্ষে আলিমই নয়।” [10]
ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (র.) তদীয় “আজ-জুহ্দ” কিতাবে বর্ণনা করেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন-
لَيْسَ العِلْمُ بِكَثْرَةِ الرِّوايَةِ، ولَكِنَّ العِلْمَ الخَشْيَةُ.
অর্থাৎ “অধিক রেওয়াত করার নাম ইলিম নয়; আল্লাহ তায়ালার ভয় হচ্ছে প্রকৃত ইলিম। [11]
হযরত ইয়াহইয়া ইবনে কাছির (র.) বলেন-
العالِمُ مَن خَشِيَ اللهَ.
অর্থাৎ “প্রকৃত আলিম হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করেন।”[12]
আল্লাহর ভয়ই আলেমগণের সম্মানিত হওয়ার মূল কারণ
আলেমের সম্মানিত হওয়ার মাপকাঠি হলো তাকওয়া বা আল্লাহ তায়ালার ভয়।
فالكَرامَةُ بِقَدْرِ العِلْمِ لا بِقَدْرِ العَمَلِ، نَعَمِ العالِمُ إذا تَرَكَ العَمَلَ قَدَحَ ذَلِكَ في عِلْمِهِ، فَإنَّ مَن يَراهُ يَقُولُ: لَوْ عَلِمَ لَعَمِلَ
অর্থাৎ “সম্মান জ্ঞানের পরিমাণ অনুযায়ী হয়, আমলের পরিমাণ অনুযায়ী নয়। তবে হ্যাঁ, যদি একজন আলেম আমল না করে, তাহলে তা তার জ্ঞানের ওপর প্রভাব ফেলে। কারণ যারা তাকে দেখবে, তারা বলবে: ‘যদি সে সত্যিই জানত, তবে অবশ্যই আমল করত।”[13]
তাফসীরে কবীরে উল্লেখ রয়েছে-
الخَشْيَةُ بِقَدْرِ مَعْرِفَةِ المَخْشِيِّ، والعالِمُ يَعْرِفُ اللهَ فَيَخافُهُ ويَرْجُوهُ. وهَذا دَلِيلٌ عَلى أنَّ العالِمَ أعْلى دَرَجَةً مِنَ العابِدِ، لِأنَّ اللَّهَ تَعالى قالَ: ﴿إنَّ أكْرَمَكم عِنْدَ اللَّهِ أتْقاكُمْ﴾ (الحُجُراتِ: ١٣) فَبَيَّنَ أنَّ الكَرامَةَ بِقَدْرِ التَّقْوى، والتَّقْوى بِقَدْرِ العِلْمِ
অর্থাৎ “ভীতিপ্রাপ্ত সত্তাকে যতটুকু চেনা যায়, ভয়ের পরিমাণও ততটুকু হয়। একজন আলেম আল্লাহ তায়ালাকে চেনেন, ফলে তিনি তাঁকে ভয় করেন এবং তাঁর প্রতি আশাও রাখেন। এটি হচ্ছে এর দলীল যে, একজন আলেমের মর্যাদা একজন আবেদ বা ইবাদতকারীর চেয়ে অধিক, কারণ আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন- “নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত সে, যে সবচেয়ে বেশি পরহেজগার।” (সূরা হুজুরাত: ১৩) – এতে স্পষ্ট হয়েছে যে, সম্মান পরহেজগারিতা অনুযায়ী নির্ধারিত, আর পরহেজগারিতা ইলিম অনুযায়ী নির্ধারিত।”[14]
আলেমগণ হলেন আল্লাহর নবীগণের উত্তরসূরী। দম্ভ-অহংকার বিবর্জিত এমন এক মহান ব্যক্তিত্ব; যিনি সর্বদা আল্লাহ তায়ালার ভয়ে ভীত। এমন আলেম সম্পর্কেই রাসূলে আকরাম ﷺ এরশাদ করেন-
إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ وَأَهْلَ سَمَاوَاتِهِ وَأَهْلَ أَرَضِيهِ وَالنُّونَ فِي الْبَحْرِ يُصَلُّونَ عَلَى الَّذِينَ يُعَلِّمُونَ النَّاسَ الْخَيْرَ
“নিশ্চয়ই আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ, আসমান ও জমিনের সব বাসিন্দা, এমনকি সাগরের গভীরে থাকা মাছ পর্যন্ত- সেই সব আলেমের জন্য দোয়া করে, যারা মানুষকে কল্যাণের শিক্ষা দেয়।”[15]
[1] সূরা ফাতির আয়াত ২৮
[2] তাফসীরে দুররে মানছুর, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, সূরা ফাতির আয়াত ২৮
[3] মাদারিজুস সালিকীন, ইবনে কায়্যিম জাওজিয়্যাহ, ২ খন্ড ১৮০ পৃষ্ঠা।
[4] মাদারিজুস সালিকীন, ইবনে কায়্যিম জাওজিয়্যাহ, ২ খন্ড ১৮০ পৃষ্ঠা।
[5] প্রগুক্ত
[6] তাফসীরে রূহুল মায়ানী, আল্লামা আলুসী বাগদাদী (র.), পৃষ্ঠা ১১ খন্ড ৩৬৩ পৃষ্ঠা।
[7] তাফসীরে কুরতুবী, সূরা ফাত্বির, আয়াত ২৮
[8] তাফসীরে দুররে মানছুর, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, সূরা ফাতির আয়াত ২৮।
[9] তাফসীরে রূহুল মায়ানী, আল্লামা আলুসী বাগদাদী (র.), পৃষ্ঠা ১১ খন্ড ৩৬৩ পৃষ্ঠা।
[10] তাফসীরে মাওয়ারদি, আল্লামা আবুল হাসান মাওয়ারদী , সূরা ফাতির আয়াত-২৮।
[11] তাফসীরে দুররে মানছুর, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, সূরা ফাতির আয়াত ২৮।
[12] প্রাগুক্ত
[13] তাফসীরে কবীর, ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী (র.), সূরা ফাতির আয়াত ২৮।
[14] প্রাগুক্ত
[15] তাফসীরে কুরতুবী, সূরা ফাতির আয়াত ২৮