ইবাদতসমূহের মধ্যে অবশ্যই ক্ববুল হবে, এমন একমাত্র ইবাদত হলো রাসূল ﷺ এর উপর দরুদ শরীফ পাঠ করা। মাক্ববূল এ আমলকে ঘিরে যুগে যুগে অনেক প্রেমময় ও আকর্ষণীয় ঘটনার জন্ম হয়েছে। নিম্নে এরূপ কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো।
দালাইলুল খাইরাত রচনা
দরুদ শরীফের উপর পৃথিবীখ্যাত একখানা কিতাব রয়েছে যার নাম “দালাইলুল খাইরাত”। যার লেখক হলেন আল্লামা মোহাম্মদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আবি বকর সুলায়মান আল জাজুলী আল্ হাসানী (র.) তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত আলিম এবং আল্লাহর ওলী। তার দালাইলুল খাইরাত কিতাবটি রচনার পেছনে একটি সুন্দর চমকপ্রদ ঘটনা রয়েছে। আল্লামা নাবহানী তার লিখিত “জামে কেরামত আউলিয়া” কিতাবে বর্ণনা করেন-
إنّ مؤلّفه سيّدي محمد بن سليمان الجزولي حضره وقت الصلاة، فقام يتوضّأ؛ فلم يجد ما يخرج به الماء من البئر. فبينما هو كذلك إذ نظرت إليه صبيّة من مكان عال؛ فقالت له: من أنت؟ فأخبرها. فقالت له: أنت الرجل الذي يثنى عليك بالخير؛ وتتحيّر فيما تخرّج به الماء من البئر!! فبصقت في البئر ففاض ماؤها على وجه الأرض، فقال الشيخ بعد أن فرغ من وضوئه: أقسمت عليك؛ بم نلت هذه المرتبة؟! فقالت: بكثرة الصلاة على من كان إذا مشى في البرّ الأقفر تعلّقت مئتين وواحدا. الوحوش بأذياله صلى الله عليه وسلم. فحلف يمينا أن يؤلّف كتابا في الصلاة على النبي صلى الله عليه وسلم.
নামাজের সময় হল। মোহাম্মদ আল জাজুলী ওজুর জন্য উঠে দাঁড়ালেন। কিন্তু কূপ হতে পানি তোলার মতো কিছু পেলেন না। তিনি পানি উঠানোর চিন্তায় বিভোর। এমন সময় এক উঁচু জায়গা থেকে একটি বালিকা তাকে দেখলো। সে বললো আপনি কে? তার পরিচয় দিলেন। বালিকা বলল, আপনি সেই ব্যক্তি যার এত প্রশংসা করা হয়। অথচ কীভাবে কূপ থেকে পানি তুলবেন এই সামান্য ব্যাপারটি নিয়ে অস্থির। এরপরে বালিকাটি তার মুখ থেকে কূপের মধ্যে থুতু ফেলল সাথে সাথে কুপ হতে পানি উপরে উঠে এসে জমিনের উপর পড়ল। শায়খ জাজুলী (র.) ওযু শেষ করার পর মেয়েটিকে বললেন, আল্লাহর কসম খেয়ে বলছি, বলত এই মর্তবা তুমি কেমন করে লাভ করেছ? মেয়েটি জবাবে বলল, আমি সেই নবীয়ে পাক ﷺ এর উপর বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করি। যিনি জঙ্গলের পথে চললে বন্য হিংস্র প্রাণী এসে তার কদমে লুটিয়ে পড়তো। তখন শায়খ জাজুলী (র.) প্রতিজ্ঞা করলেন, যে তিনি দরুদ শরীফের একখানা কিতাব রচনা করবেন।
সেই থেকে তিনি বিভিন্ন দরুদ শরীফ সংগ্রহ শুরু করলেন এবং বিশেষত ঐ মেয়েটি যে দরুদ পড়ত। যাকে দরুদে বীর বলা হয়। এভাবে করেই দালাইলুল খায়রাত কিতাব রচনা করলেন। আর ঐ কিতাবটির রাসূল প্রেমিকদের খোরাক হিসেবে পঠিত হচ্ছে।
হযরত বিলাল (রা.) এর ঘটনা
আবু দারদা রাদ্বি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন:
قَالَ لَمَّا دَخَلَ عمر بن الْخطاب سَأَلَ بِلَال أَنْ يَقْدِمَ الشَّامَ فَفَعَلَ ذَلِكَ قَالَ وَأَخِي أَبُو رُوَيْحَةَ الَّذِي آخَى بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَزَلَ دَارِيَّا فِي خَوْلَانَ فَأَقْبَلَ هُوَ وَأَخُوهُ إِلَى قَوْمٍ مِنْ خَوْلَانَ فَقَالَا لَهُمْ قَدْ جِئْنَاكُمْ خَاطِبَيْنِ وَقَدْ كُنَّا كَافِرَيْنِ فهدانا الله ومملوكين فأعتقا اللَّهُ وَفَقِيرَيْنِ فَأَغْنَانَا اللَّهُ فَإِنْ تزوجونا فَالْحَمْد لله وإ تَرُدُّونَا فَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ فَزَوَّجُوهُمَا ثُمَّ إِنَّ بِلَال رَأَى فِي مَنَامِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَقُولُ مَا هَذِهِ الْجَفْوَةُ يَا بِلَالُ أما آن أَن تزورني فَانْتَبَهَ حَزِينًا وَجِلًا خَائِفًا فَرَكِبَ رَاحِلَتَهُ وَقَصَدَ الْمَدِينَةَ فَأَتَى قَبْرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلَ يَبْكِي عِنْدَهُ وَجَعَلَ يُمَرِّغُ وَجْهَهُ عَلَيْهِ وَأَقْبَلَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ صلوَات الله عَلَيْهِمَا فَجعل يمهما وَيُقَبِّلُهُمَا فَقَالَا لَهُ يَا بِلَالُ نَشْتَهِي نَسْمَعُ أَذَانَكَ الَّذِي كُنْتَ تؤذنه لروس اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي السَّحَرِ فَفَعَلَ فَعَلَا سَطْحَ لمَسْجِد فَوَقَفَ مَوْقِفَهُ الَّذِي كَانَ يَقِفُ فِيهِ فَلَمَّا أَنْ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ارْتَجَّتِ الْمَدِينَةُ فَلَمَّا أَنْ قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ زَادَ تَعَاجِيجُهَا فَلَمَّا أَنُ قَالَ أَشْهَدُ أمُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ خَرَجَ الْعَوَاتِقُ من خَ دورهن فَقَالُوا أَبُعِثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَا رؤى يَوْمٌ أَكْثَرَ بَاكِيًا وَلَا بَاكِيَةً بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ ذَلِكَ الْيَوْمِ.
অর্থাৎ হযরত ওমর (রা.) যখন ফতেহ বায়তুল মুকাদ্দাসের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করলেন। ভ্রমণ কালে জাবিয়াতে গেলে হযরত বেলাল (রা.) আবদার করলেন, তাঁকে শামে অবস্থান করতে দেওয়ার জন্য। হযরত ওমর (রা.) তাই করলেন। অতঃপর বেলাল বললেন আমার ভাই আবু বোহাইয়াকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার সাথে ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ করে দিয়েছিলেন। তারপর বেলাল ঘুমের ঘোরে দয়াল নবীকে স্বপ্নে দেখলেন। নবীজি বেলাল কে বলছেন এ কেমন জুলুম হে বেলাল! হে বেলাল, আমার জিয়ারত করার সময় কি এখনো আসেনি হে বেলাল? হযরত বেলাল চিন্তাযুক্ত ও ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লেন। এবং মদিনার প্রতি যাওয়ার প্রস্তুত করলেন। অতঃপর রওজা মুবারকে এসে কান্না শুরু করলেন যাতে তার চেহারায় কান্নার প্রভাব পড়ল। অতঃপর ইমাম হাসান হোসাইন (রা.) আগমন করলেন। হযরত বেলাল তাদের উভয়কে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে লাগলেন। হাসান হোসাইন বললেন আপনার আজান শোনার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করতেছি। যে আজান আপনি রাসূলের জন্য মসজিদে পেশ করতেন। তারা উভয়ে মসজিদের ছাদে আরোহণ করে বেলালকে আজানের স্থলে যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি আযান দিতেন সেখানে দাঁড় করিয়ে দিলেন। বেলাল যখন “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার” বলেন তখন মদিনা প্রকম্পিত হয়ে উঠল। যখন তিনি “আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বললেন কম্পন আরো বেড়ে গেল। তিনি যখন “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ” বললেন তখন এলাকাবাসী প্রবল অনুরাগে বেরিয়ে পড়ল। এবং বলতে লাগলো রাসুল ﷺ বুঝি মদিনায় এসে গিয়েছেন। বর্ণানাকারী বললেন দয়াল নবীজির পরে আজকের চেয়ে বেশি কান্না মদিনায় আর কোন দিন দেখা যায় নাই।[1] ঘটনাটি অনেক ইতিহাসের কিতাবে আলোচনা করা হয়েছে।
রাসূল ﷺ কর্তৃক আহার লাভ
হযরত আবু আবদির রহমান সালামী, হযরত আবুল খায়ের আকতা (র.) বর্ণনা করেন:
وروى أبو عبد الرحمن السلمي عن أبي الخير الأقطع: أنه مكث خمسة أيام لا يأكل، فجاء للقبر الشريف وشكا، ثم تنحى ونام خلف المنبر، فرآه صلى الله عليه وسلم وأبو بكر عن يمينه، وعمر عن يساره، وعليّ بين يديه، فحرّكني عليّ وقال: قم، قد جاء النبي صلى الله عليه وسلم، فقمت إليه وقبلت بين عينيه، فدفع إليّ رغيفا، فأكلت نصفه، وانتبهت فإذا في يدي نصف رغيف.
নিশ্চয় তিনি পাঁচ দিন পর্যন্ত না খেয়ে অবস্থান করছেন। অর্থাৎ ৫ দিন পর্যন্ত কোন খাবার পাননি। অতঃপর এ উপবাস অবস্থায় নবীয়ে পাক ﷺ এর রওজা শরীফে এসে নবীজির দরবারে সালাম পেশ করলেন। এবং নিজের কষ্ট উপবাসের কথা নবীজির কাছে ব্যক্ত করতঃ রওজা শরীফ হতে সরে গিয়ে মিম্বর শরীফের পেছনে ঘুমিয়ে গেলেন। ঘুমন্ত অবস্থায় স্বপ্নের ঘরে নবীজির দিদার পেয়ে গেলেন। ডান পাশে হযরত আবু বকর (র.) বামপাশে হযরত ওমর (র.) সম্মুখ পানে হযরত আলী (র.)। হযরত আলী (র.) আমাকে নাড়া দিয়ে বললেন, তুমি উঠ, নিশ্চয়ই রাসূলে পাক ﷺ এসেছেন। আমি নবীজির সম্মুখে দাঁড়িয়ে গেলাম আর নবীজি আমার দু চোখের মধ্যখান অর্থাৎ কপালে চুমু দিলেন আর আমাকে একটি রুটি দিলেন। অতঃপর আমি রাসুলের দেয়া রুটিটি খেতে শুরু করলাম। স্বপ্নেই অর্ধেক খেয়ে নিলাম অতঃপর জাগ্রত হয়ে দেখি বাকি অর্ধেক রুটি আমার হাতেই রয়েছে।[2]
ক্ষমার সুসংবাদ
عَنْ الْعُتْبِيِّ، قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ قَبْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَجَاءَ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، سَمِعْتُ اللَّهَ يَقُولُ وَلَوْ أَنَّهُمْ إِذْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ جاؤُكَ فَاسْتَغْفَرُوا اللَّهَ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمُ الرَّسُولُ لَوَجَدُوا اللَّهَ تَوَّاباً رَحِيماً وَقَدْ جِئْتُكَ مُسْتَغْفِرًا لِذَنْبِي مُسْتَشْفِعًا بك إلى ربي. ثم أنشأ يقول: يَا خَيْرَ مَنْ دُفِنَتْ بِالْقَاعِ أَعْظُمُهُ … فَطَابَ مِنْ طِيبِهِنَّ الْقَاعُ وَالْأَكَمُ/ نَفْسِي الْفِدَاءُ لِقَبْرٍ أَنْتَ سَاكِنُهُ … فِيهِ الْعَفَافُ وَفِيهِ الْجُودُ وَالْكَرَمُ . ثُمَّ انْصَرَفَ الْأَعْرَابِيُّ، فَغَلَبَتْنِي عَيْنِي فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي النَّوْمِ، فَقَالَ يَا عُتْبِيُّ، الْحَقِ الْأَعْرَابِيَّ فَبَشِّرْهُ أَنَّ اللَّهَ قَدْ غَفَرَ لَهُ».
অর্থাৎ আল্লামা উতবী (র.) হতে বর্ণিত যে তিনি বলেন আমি একদা নবীয়ে পাক ﷺ রওজা শরীফের পাশে বসা ছিলাম। এমতাবস্থায় একজনে আরাবী এসে নবীয়ে পাক ﷺ এর রওজা পাশে দাঁড়িয়ে বলল, আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ ওগো আল্লাহর রাসুল ﷺ আমি শুনেছি যে আল্লাহ তায়ালা বলছেন-
وَلَوْ أَنَّهُمْ إِذْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ جاؤُكَ فَاسْتَغْفَرُوا اللَّهَ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمُ الرَّسُولُ لَوَجَدُوا اللَّهَ تَوَّاباً رَحِيماً
অর্থ: আর যদি কখনো তারা নিজেদের আত্মার প্রতি জুলুম করে, তখন হে মাহবুব! (তারা) আপনার দরবারে হাজির হয়, (প্রত্যেক প্রকারের অপরাধী প্রতিটি যুগে যেকোন প্রকারের অপরাধ-ই করুক না কেন আপনার আস্তানা মোবারক এসে যায়) অতঃপর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, আর রাসূল ﷺ তাদের পক্ষে সুপারিশ করেন। তবে অবশ্যই তারা আল্লাহকে তাওবা কবুলকারী দয়ালু পাবে। এ আয়াত শরীফ পাঠ করতঃ বলছে- নিশ্চয় আমি আপনার দরবারে এসেছি ইয়া রাসূলাল্লাহ আমার গুনাহ মাফির জন্য। আমার প্রভুর দরবারে একটু সুপারিশ করুন। অতঃপর সে আবৃত্তি করলো-
يَا خَيْرَ مَنْ دُفِنَتْ بِالْقَاعِ أَعْظُمُهُ … فَطَابَ مِنْ طِيبِهِنَّ الْقَاعُ وَالْأَكَمُ
نَفْسِي الْفِدَاءُ لِقَبْرٍ أَنْتَ سَاكِنُهُ … فِيهِ الْعَفَافُ وَفِيهِ الْجُودُ وَالْكَرَمُ
এভাবে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে নবীজির দরবারে আর্জি জানিয়ে চলে গেল। আল্লামা উতবী বলেন- আমিও ঘুমিয়ে গেলাম স্বপ্নের ঘরে নবীয়ে পাক ﷺ এর দিদার নসিব হয়ে গেল। হুজুর ﷺ আমাকে বললেন, হে উতুবী ওই আরাবীকে বলে সুসংবাদ দিয়ে দাও যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।[3]
আল্লামা কুরতবী (র.) তাফসির গ্রন্থে লিখেন, হযরত আবু সাদেক, হযরত আলী (র.) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন:
قدم علينا أعرابي بعد ما دفنا رسول الله صلى الله عليه وسلم بثلاثة أيام، فرمى بنفسه على قبر رسول الله صلى الله عليه وسلم وحثا على رأسه من ترابه، فقال: قلت يا رسول الله فسمعنا قولك، ووعيت عن الله فوعينا عنك، وكان فيما أنزل الله عليك (ولو أنهم إذ ظلموا أنفسهم) الآية، وقد ظلمت نفسي وجئتك تستغفر لي. فنودي من القبر إنه قد غفر لك.
অর্থাৎ রাসুলে পাক ﷺ এর ইন্তেকাল শরীফের তিনদিন পর আমাদের নিকট একজন বেদুইন আসলেন। অতঃপর নিজেকে রওজা শরীফের ধুলির সাথে মিশিয়ে দিল আর বলল- আপনি যা বলেছেন- ওগো আল্লাহর রাসূল ﷺ! আমরা আপনার সে কথাগুলো শুনেছি। আপনি সচেতনতা বা সাহায্য আল্লাহ হতে পেয়েছেন। আমরাও আল্লাহর নিকট সাহায্য চাই। কেননা আল্লাহ আপনার প্রতি নাযিল করেছেন। (আর যদি কখনো তারা নিজেদের আত্মার প্রতি জুলুম করে। তখন হে মাহবুব! তারা আপনার দরবারে হাজির হয়। অতঃপর আল্লাহর নিকট ক্ষমা চায়, আর রাসুল তাদের ক্ষমা সুপারিশ করেন। তবে অবশ্যই তারা আল্লাহকে অত্যন্ত তাওবা কবুলকারী দয়ালু পাবে)। ইয়া রাসুলাল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আমার নফসের প্রতি জুলুম করেছি। তাই আমি আপনার কাছে এসেছি। আমাকে ক্ষমা করিয়ে দিন। এ কথা বলার সাথে সাথেই কবর বা রওজা শরীফ হতে আহবান আসলো যে, নিশ্চয়ই তাকে ক্ষমা করা হয়েছে।[4]
আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেরকে বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করার ও দরুদ শরীফের সকল বরকত হাসিল করার তাওফিক দান করেন, আমীন।
সূত্র: ফাদ্বায়েলে দরূদ
কৃত : -মাওলানা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, হাজী আলীম উল্লাহ আলিয়া মাদ্রাসা, চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ।
[1] গাসসানী, আবুল হাসান, আখবার ওয়া হেকায়াত, ৪৬ পৃষ্ঠা।
[2] সাখাবী, আব্দুর রহমান, আল ক্বাওলুল বাদী।
[3] তাফসীরে ইবনে কাছীর।
[4] তাফসীরে কুরতুবী ৫/২৬৬।