আল্লাহ তায়ালার জাত একমাত্র নূরে মতলক
পবিত্র কোরআন মাজিদের ১৮ পারা সূরা নূর ৩৫ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন-
اَللهُ نُوْرُ السَّموَاتِ وَالْاَرْضِ
অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা আসমানসমূহ ও জমিনের নূর তথা আলো দানকারী।
এ আয়াতে কারীমার ব্যাখ্যায় মুফাসসিরীনে কিরামগণ লিখেছেন- আল্লাহতা’য়ালার ذات জাত হচ্ছেন نور ‘নূর‘ বমা’না منور ‘মুনাওইর’ আলোদানকারী বা নূরের স্রষ্টা তথা- কুলকায়েনাতের স্রষ্টা। যাঁকে نور مطلق ‘নূরে মতলক’ বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। (মিশকাতুল আনোয়ার, তাফসিরে কবির)
যেমনিভাবে ওয়াজিবুল ওজুদ একমাত্র আল্লাহতা’য়ালা। তিনি ব্যতীত ওয়াজিবুল ওজুদ আর কেউ নেই। কেননা ওয়াজিবুল ওজুদ ঐ সত্তাকে বলে যিঁনি সত্তাগতভাবে স্বয়ং অস্তিত্বশীল, অন্যের দ্বারা অস্তিত্বশীল নন। যিঁনি কখনো অস্তিত্বহীন ছিলেন না এবং অস্তিত্বহীন হবেনও না। এমন সত্তা একমাত্র আল্লাহ।
এভাবে নূরে হাকিকী বা নূরে মতলক একমাত্র আল্লাহ। কেননা নূরে হাকিকী বা প্রকৃত অর্থে নূর একমাত্র আল্লাহতা’য়ালার জাত বা সত্ত্বাকেই বুঝায়। আল্লাহতা’য়ালা ব্যতীত যা কিছু আছে তাকে বিজ্জাত মুজলিম বা অন্ধকার বলা হয়। হ্যাঁ আল্লাহপাক যাঁকে নূর বানিয়েছেন বা নূর দান করেছেন তাকে রূপক অর্থে নূর বলা হয়। এ ধরনের নূরকে নূরে মজাজি বলে। অতএব আল্লাহতা’য়ালা ব্যতীত যে সকল সম্মানিত মাখলুককে আমরা নূর বলে থাকি তা নূরে মজাজি। নূরে মতলক বা নূরে হাকিকী নয়।
এ প্রসঙ্গে তাফসিরে রূহুল মায়ানী ৬ষ্ঠ খণ্ড ১৮ পারা- اَللهُ نُوْرُ السَّموَاتِ وَالْاَرْضِ এ আয়াতের তাফসিরে ১৬৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে-
فَالْوُجُوْدُ الْحَقِّ ـ وَاللهُ تَعَالَى كَمَا اَنَّ النُّوْرَ الْحَقِّ هُوَ اللهُ عَزَّوَجَلَّ ـ
ভাবার্থ: অতএব যেমনিভাবে ওজুদে হক একমাত্র আল্লাহ তা’য়ালা, তেমনিভাবে নূরে হকও একমাত্র আল্লাহতা’য়ালা’।
এর কয়েক লাইন পরে উল্লেখ রয়েছে-
وَفَسَّرَ النُّوْرَ فِىْ هذِهِ الْاَيَةِ اَعْنِىْ قَوْلَهُ تَعَالى(اَللهُ نُوْرُ السَّموَاتِ وَالْاَرْضِ)بِذلِكَ ثُمَّ اَشَارَ اِلى وَجْهِ الْاِضَافَةِ اِلى(السَّموَاتِ وَالْاَرْضِ) بِقَوْلِهِ: لَايَنْبَغِىْ اَنْ يُّخْفَى عَلَيْكَ ذلِكَ بَعْدَ اَنْ عَرفت اَنَّهُ تَعَالَى هُوَ النُّوْرُ وَلَانُوْرٌ سِوَاُه ـ
অর্থাৎ اَللهُ نُوْرُ السَّموَاتِ وَالْاَرْضِ এ আয়াতে কারীমার মধ্যে যে নূর রয়েছে, সেই নূরের তাফসীরের দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই নূরে হাকিকী। তিনি ব্যতীত প্রকৃতপক্ষে আর কোন নূর নেই।
সপ্তম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ আল্লামা ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী (র.) (ওফাত ৬০৪ হিজরি) তদীয় ‘তাফসিরে কবির’ নামক কিতাবের ১২ নম্বর জিলদের ২৩ নম্বর জুজ এর ২৩০ পৃষ্ঠায় ইমাম গাজ্জালি (র.) এর- مشكوة الانوار ‘মিশকাতুল আনওয়ার’ নামক কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেন-
وَالْمُمْكِنُ لِذَاتِهِ يَسْتَحِقُّ الْعَدَمُ مِنْ ذَاتِهِ وَالْوُجُوْدُ مِنْ غَيْرِهِ وَالْعَدَمُ هُوَ الظُّلْمَةِ
ভাবার্থ : মুমকিন বিজ্জাত বা সত্ত্বাগত মুমকিন বলা হয় যা স্বয়ং অস্তিত্বশীল নয়, অন্যের দ্বারা অস্তিত্বশীল হয়, আর সকল عدم ‘আদম’ বা অস্তিত্বহীন হচ্ছে জুলমত বা অন্ধকার (যা নূরের বিপরীত)। অতঃপর বলেন-
اَلْحَاصِلَةُ وَالْوُجُوْدُ هُوَ النُّوْرُ- فَكُلُّ مَا سِوَى اللهِ مُظْلِمٌ لِذَاتِهِ مُسْتَنِيْر بِاِنَارَةِ اللهِ تَعَالَى
ভাবার্থ: সারকথা হচ্ছে, আল্লাহতা’য়ালার ওজুদই হচ্ছে একমাত্র নূর (বা হাকিকী নূর বমা’না منور ‘মুনাওইর’ নূর সৃষ্টিকারী) অতএব আল্লাহ ছাড়া অন্য সবকিছু সত্ত্বাগতভাবে জুলমত বা অন্ধকার এবং আল্লাহ প্রদত্ত নূরের দ্বারাই নূরান্বিত।
অতঃপর আরো বলেন-
وَعِنْدَ هَذَا يُظْهِرُ اَنَّ النُّوْرَ الْمُطْلَقَ هُوَ اللهُ سُبْحَانَهُ وَاَنَّ اِطْلَاقُ النُّوْرِ عَلَى غَيْرِهِ مَجَازٌ اِذْ كُلُّ مَا سِوَى اللهِ (ص ۲۳٠ جزء ۲۳)
ভাবার্থ: প্রমাণিত হলো যে, নিশ্চয়ই নূরে মতলক হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু তা’য়ালা। আল্লাহ ছাড়া অন্যের উপর নূরের এতলাক বা অন্য কাউকে নূর আখ্যায়িত করা মাজাজ বা রূপক অর্থে প্রয়োগ হবে।
অতঃপর আরো বলেন-
فَثَبَتَ اَنَّهُ سُبْحَانَهُ هُوَ النُّوْرُ- وَاِنْ كُلُّ مَا سِوَاهُ فَلَيْسَ بِنُوْرٍ اِلَّا عَلَى سَبِيْلِ الْمَجَازِ (ص ۲۳٠ جزء ۲۳)
ভাবার্থ: অতএব, স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো, নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবহানাহু তা’য়ালাই একমাত্র নূর। আল্লাহতা’য়ালা ছাড়া অন্য যা কিছুই রয়েছে কাউকে নূর বলে আখ্যায়িত করা যায় না কিন্তু তা হবে মাজাজ বা রূপক অর্থে নূর।
অতঃপর আরো বলেন-
وَاعْلَمْ اَنَّ هَذَا الْكَلَامُ اَلَّذِىْ رَوَيْنَا عَنِ الشَّيْخِ الْغَزَّالِىْ رَحْمَهُ اللهُ كَلَامٌ مُسْتَطَابٌ وَلَكِنْ يَرْجِعُ حَاصِلَهُ بَعْدَ التَّحْقِيْقِ اِلَى اَنَّ مَعْنَى كَوْنِهِ سُبْحَانَهُ نُوْرًا اَنَّهُ خَالِقُ لِلْعَالَمِ وَاَنَّهُ خَاِلُق لِلْقُوَّى الدَّرَاكَةُ وَهُوَ الْمَعْنَى مِنْ قَوْلِنَا مَعْنَى كَوْنِهِ نُوْرَا السَّموَاتِ وَالْاَرْضِ اَنَّهُ هَادِىُ اَهْلِ السَّموَاتِ وَالْاَرْضِ— فَلَاتَفَاوُتَ بَيْنَ مَا قَالَهُ وَبَيْنَ الَّذِىْ نَقَلْنَاهُ عَنِ الْمُفَسِّرِيْنَ فِى الْمَعْنَى وَاللهُ اَعْلَمُ
ভাবার্থ: ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী (র.) বলেন- জেনে রাখুন! নিশ্চয়ই এই বক্তব্য যা আমি বর্ণনা করেছি, তা হলো শায়খ ইমাম গাজ্জালী (র.) হতে كلام مستطاب উত্তম কালাম বা গ্রহণযোগ্য বক্তব্য থেকে বর্ণনা করেছি। তা তাহকিক বা বিশ্লেষণ করে যা প্রাধান্য পায় তা হলো যে, এ অর্থে আল্লাহতা’য়ালা নূর যে, তিনি জগতের স্রষ্টা এবং নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহতা’য়ালা) শক্তিশালী জ্ঞান বা বোধগম্যতা সৃষ্টিকারী) আমাদের বক্তব্যে এ অর্থই বহন করে যে, আল্লাহতা’য়ালার কালাম اَللهُ نُوْرُ السَّموَاتِ وَالْاَرْضِ আল্লাহতা’য়ালা আসমান জমিনের নূর অর্থাৎ তিনি (আল্লাহতা’য়ালা) নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের অধিবাসীদের পথ প্রদর্শক এবং স্রষ্টা। আল্লামা ইমাম গাজ্জালী (র.) যে ফয়সলা দিয়েছেন এবং মুফাসসিরীনগণ থেকে আমরা যা বর্ণনা করেছি এর উভয়ের মধ্যে অর্থের দিক দিয়ে কোন পার্থক্য নেই।
নূর শব্দের অর্থ
এ প্রসঙ্গে তাফসিরে রূহুল মায়ানী ৬ষ্ঠ খণ্ড ১৮ পারা اَللهُ نُوْرُ السَّموَاتِ وَالْاَرْضِ এ আয়াতের তাফসিরে ১৬৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে-
مَعْنَى النُّوْرِ وَهُوَ الظُّهُوْرُ فِىْ نَفْسِهِ وَاِظْهَارُ لِغَيْرِهِ
নূর অর্থ হলো: যা নিজে নিজে জুহুর বা প্রকাশ এবং অন্যকেও প্রকাশকারী।
একই পৃষ্ঠায় আরও উল্লেখ রয়েছে-
وَقِيْلَ: نُوْرٌ بِمَعْنَى مُنَوَّرٌ وَرُوِىَ ذَلِكَ عَنِ الْحَسَنِ- وَاَبِى الْعَالِيَه وَالضَّحَّاكِ وَعَلَيْهِ جَمَاعَةٌ عَنِ الْمُفَسِّرِيْنَ
অর্থাৎ ‘نور ‘নূর’ এর অর্থ হচ্ছে منور ‘মুনাওইর’ অন্য সবকিছুকে আলোকিতকারী। হাসান আবু আলীয়া ও জেহহাকসহ এক জামাত মুফাসসিরীনে কেরামের অভিমত এর উপরই রয়েছে।
চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমাম আহমদ রেজা খাঁন (র.) তদীয় نور المصطفى নামক কিতাবে উল্লেখ করেন-
محققین کے نزدیک نور وہ کہ خود ظاھر ہو اور دوسروں کا مظھر کما ذکرہ الامام حجۃ الاسلام الغزالی ثم العلامہ الزرقانی فی شرح المواھب الشریف باین معنی اللہ عز وجل نور حقیقی ہے بلکہ حقیقۃ وھی نور ہے اور آیۃ کریمہ اللہ نور السموات والارض بلا تکلف وبلاتاویل اپنے معنی حقیقی پرہے فان اللہ عز وجل ھو الظاھر بنفسہ المظھر لغیرہ من السموات والارض ومن فیھن وسائر المخلوقات-
ভাবার্থ: মুহাক্কিক বা বিশেষকদের মতে নূর ইহাকেই বলে যে, স্বয়ং প্রকাশমান এবং অন্যকে প্রকাশকারী, যেমন হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (র.) , আল্লামা যারকানী শরহে মাওয়াহিব শরীফে উল্লেখ করেছেন। এ অর্থে মহান আল্লাহতা’য়ালা হচ্ছেন নূরে হাকিকী বা প্রকৃতপক্ষে حقيقة তিনিই একমাত্র নূর, আর الله نور السموات والارض ‘আল্লাহু নূরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি’ আয়াতে কারীমায় জটিল ও কুটিল ব্যাখ্যা ব্যতীত স্বীয় হাকিকী অর্থে প্রযোজ্য হবে। কেননা নিশ্চয় আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা নিজেই প্রকাশমান এবং অন্যকে প্রকাশকারী। আসমান, জমিন উভয়ের অধিবাসী এবং সমস্ত সৃষ্টিজগতকে জাহির বা প্রকাশ করেছেন।
তাফসিরে কবীর নামক কিতাবে উল্লেখ রয়েছে, আল্লাহ যে নূর এ নূরের অর্থ خَالِقُ لِلْعَالَمِ কুলকায়েনাতের স্রষ্টা।
আল্লামা রাগেব ইস্পাহানির লিখিত ‘আল মুফরাদাত’ নামক কিতাবের ৫০৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে-
وَسَمَّى اللهُ تَعَالَى نَفْسَهُ نُوْرًا مِّنْ حَيْثُ اَنَّهُ هُوَ الْمُنَوَّرُ— قَالَ: (اَللهُ نُوْرُ السَّموَاتِ وَالْاَرْضِ)
অর্থাৎ ‘আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা’য়ালা স্বীয় নাফস বা জাতকে নূর বলে নামকরণ করেছেন এ মর্মে যে- এ নূরের অর্থ হলো منور ‘মুনাওইর’ বা আলোদানকারী। আল্লাহতা’য়ালা এরশাদ করেছেন- আল্লাহ আসমান ও জমিনের নূর দানকারী।’
এ প্রসঙ্গে আল্লামা ফাসী (র.) তদীয় ‘মাতালিউল মুসাররাত শরহে দালাইলুল খায়রাত’ নামক কিতাবে উল্লেখ করেন-
قَدْ قَالَ الْاَشْعَرِىُّ اَنَّهُ تَعَالَى نُوْرٌ لَيْسَ كَاالْاَنْوَارِ وَالرُّوْحُ النُّبُوَّةِ الْقُدُسِيَّةِ لُمْعَةٌ مِّنْ نُوْرِهِ وَالْمَلَئِكَةُ شُرُرٌ تِلْكَ الْاَنْوَارِ وَقَالَ صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوَّلُ مَاخَلَقَ اللهُ نُوْرِىْ وَمِنْ نُوْرِىْ خَلَقَ كُلَّ شَيْئٍ وَغَيْرِهِ مِمَّا فِىْ مَعْنَاهُ-
অর্থাৎ ইমামে আহলে সুন্নাত আবুল হাসান আশআরী (র.) এরশাদ করেন- নিঃসন্দেহে আল্লাহতা’য়ালা নূর কিন্তু অন্য কোন নূরের মত নয়। (যাঁর কোন উদাহরণ নেই) হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রূহ মোবারক সেই নূরেরই ঝলক এবং ফেরেশতাগণ ঐ জ্যোতি থেকে ঝড়ে পড়া নূরের খণ্ডসমূহ। হুজুর ﷺ এরশাদ করেন- আল্লাহতা’য়ালা সর্বপ্রথম আমার নূর মোবারককে সৃষ্টি করেছেন এবং আমার নূর হতেই সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ আল্লাহর হাবিব সৃষ্ট নূর।
সারকথা হলো- আল্লাহতা’য়ালার জাত মোবারক হচ্ছেন হাকিকী নূর বা নূরে মতলক বমা’না আলোদানকারী, কুল কায়েনাতের স্রষ্টা। আল্লাহর ذات জাত যে নূর এ নূরের অংশ হয় না, টুকরো হয় না, ভাগ হয় না। লাল নয়, কালো নয়, হলুদ নয়, সবুজ নয়, যাঁর কোন উদাহরণ বা মিসাল নেই তিনি হচ্ছেন নিরাকার অবশ্যম্ভাবী অস্তিত্বের অধিকারী।
আল্লাহ আজলি (যিনি সবসময় ছিলেন যার আরম্ভ নেই) আবদি (যাঁর কোন শেষও নেই) ছরমদী যেমনি ছিলেন তেমনি আছেন, তেমনি থাকবেন, যাঁর কোন লয়, ক্ষয়, পরিবর্তন-পরিবর্ধন নেই। তাঁর কোন ধ্বংস নেই তিনি কাদীমে হাকিকী এবং ওয়াজিবুল ওজুদ, অবশ্যাম্বভাবী অস্তিত্বের অধিকারী, তিনি হচ্ছেন আল্লাহ।
সূত্র:
আকাঈদে আহলে সুন্নাহ। (হতে পরিমার্জিত)
কৃত : অধ্যক্ষ আল্লামা শেখ মোহাম্মদ আব্দুল করিম সিরাজনগরী (মা.জি.আ.)
1 thought on “আল্লাহ তায়ালার জাত সম্পর্কিত আকিদা”
আল্লাহ তাআ’লা আমাদের কে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বিদার উপর অটল থাকার তৌফিক দান করুক